রবিবার দুপুর পৌনে ১টায় সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান বলে জানিয়েছেন সংস্থার সহ-সমন্বয়ক এম সানাউল হক।
সানাউল হক আরও জানান, হাননান খান করোনায় আক্রান্ত হয়েছিলেন। আইজিপি পদমর্যাদায় থাকা তদন্ত সংস্থার প্রধান মৃত্যুকালে স্ত্রী এক ছেলে এক মেয়েসহ অজস্র গুনগ্রাহী রেখে গেছেন৷
তার মৃত্যুতে তদন্ত সংস্থার সকল স্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা গভীর শোকাহত ও সকলে তার বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করে শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানিয়েছেন।
নেত্রকোনার পূর্বধলা খলিশাউর খান পাড়ায় জন্ম নেয়া আবদুল হাননান খান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগ থেকে এমএ এবং এলএলবি ডিগ্রি অর্জন করেন।
প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অধ্যয়নকালে তিনি ভাষা আন্দোলনে অংশ নেন। হামিদুর রহমান শিক্ষা কমিশন আন্দোলনে কিশোরগঞ্জ মহকুমার ছাত্র সংগ্রাম কমিটির সভাপতি ছিলেন। ১৯৬৪ সালে ডাকসু নির্বাচনে সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন।
পড়াশোনা শেষে ১৯৬৫ সাল থেকে ব্রাক্ষ্মণবাড়ীয়া কলেজ, মৌলভীবাজার কলেজ, ময়মনসিংহের নাসিরাবাদ কলেজ ও জামালপরের আশেক মাহমুদ কলেজে অধ্যাপনা করেন। ১৯৭১ সালে ১১ নং সেক্টরের ঢালু সাব সেক্টরে সক্রিয় মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেন তিনি। স্বাধীনতার পর ১৯৭৩ সালে বিসিএস প্রথম ব্যাচে পুলিশ বিভাগে এএসপি হিসেবে যোগ দেন করেন আবদুল হাননান খান।
এরপর ১৯৯৬ সালে ‘বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলা’র প্রধান তদন্ত তদারকি কর্মকর্তা হিসেবে নিয়োগ পান তিনি। তখন পলাতক আসামি মেজর হুদাকে ব্যাংকক থেকে আনতেও সরকারিভাবে তিনি মনোনয়ন পেয়েছিলেন।
এছাড়া জেলহত্যা মামলা এবং বুদ্ধিজীবী হত্যা মামলার ও তদন্ত তদারকি কর্মকর্তাও ছিলেন তিনি। ২০০০ সালে ঢাকা রেঞ্জের অতিরিক্ত ডিআইজি হিসাবে কর্মরত থাকা অবস্থায় অবসরে যান।
মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারে গঠিত আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থার সমন্বয়ক হিসেবে ২০১১ সালে নিয়োগ পেয়ে আইজিপি পদমর্যাদায় সমন্বয়ক হিসেবে কর্মরত ছিলেন আবদুল হাননান খান৷